top of page

Learning

শিশুর পড়ায় মনোযোগ বাড়াতে কী করবেন?

আপনার শিশুর মধ্যে হয়তো সৃজনশীল অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। সন্তানের সৃজনশীল মেধাকে বিকাশিত করার জন্য এই অভিভাবকদের সৃজনশীল বিভিন্ন কৌশল খুঁজে বের করতে হয়। শিশুর পড়ার আগ্রহ বাড়ানোর জন্য প্রথম ধাপেই তার সঙ্গী পেনসিল, খাতা, রাবার, স্কেল, ব্যাগ ও পড়ার টেবিল গুছিয়ে ফেলতে হবে। শিশুর পড়ালেখার জন্য আগ্রহের একটি কেন্দ্রবিন্দু থাকে তার পড়ার টেবিল। তাই পড়ার টেবিলটির প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। শিশুর পড়ার টেবিলটি সাজিয়ে দিন।

আসুন জেনে নেই শিশুর লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়াতে কী কবরেন?

রঙিন ব্যাগ, খাতা ও নতুন রং পেনসিল বক্স

শিশুরা সাধারণ বিভিন্ন জিনিস আকতে ও রং করতে পছন্দ করে। শিশুদের কাছে স্কুলে যাওয়া-আসা ও পড়ায় মনোযোগ বাড়তে নতুন ও রঙিন সব নতুন ব্যাগ, খাতা আর নতুন রং পেনসিল বক্স উপহার দিন। তাকে বিভিন্ন জিনিস এঁকে দিন এ রং করতে সাহায্য করুন। পড়ার টেবিল শিশুর পড়ার টেবিল ঘুছিয়ে রাখুন। পড়ার টেবিলে একটি ফুলদানি, বইগুলো গুছিয়ে রাখা, একটি পানির পট, রং পেনসিল ও পুতুল ও খেলনা রাখতে পারেন। এতে শিশুর মেধা বিকাশ ও কোমল মনে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ তৈরি করে। এছাড়া পাখির আকৃতির কিংবা মাছের আকৃতির ব্যাগ শিশুকে আকৃষ্ট করে স্কুলে যাওয়ার জন্য।

621e3bb8104a8.jpg

শিশুদের অনলাইন ক্লাস

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কয়েক মাস ধরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিন্তু তাই বলে পুরোপুরি থেমে নেই শিক্ষাদান কর্মসূচি। এই নতুন অবস্থায় পাঠদান অব্যাহত রাখতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা।

স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, টেলিভিশন ইত্যাদি ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যবস্থা ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকার জন্য নতুন। আর দীর্ঘ মেয়াদে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের রয়েছে কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকিও। যত দিন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমে না আসে ততদিন অনলাইন শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অভিভাবকদের জানতে হবে কীভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে শারীরিক ক্ষতি না করে শিশুদের এতে অভ্যস্ত করা যায়।

excercise.jpg

শিশুদের খেলতে দিন

খেলতে খেলতেই শিশুরা চারপাশকে জানে, উপলব্ধি করে, গুনতে শেখে, বুঝতে শেখে। শিশুর আচরণ, সামাজিক শিক্ষা ও বেড়ে ওঠার পেছনে প্রতিদিনের দলগত বা বিচ্ছিন্ন খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম।
—আর্লি চাইল্ডহুড এডুকেশনাল জার্নাল (২০০৭) বলছে, অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা খেলার মাধ্যমে একে অপরের অনুভূতি সম্পর্কে সচেতন হয়। নিজের অনুভূতিগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে।
—জার্নাল পেডিয়াট্রিকস-এর (২০০৯) মতে, যেসব শিশু স্কুলে অন্তত ১৫ মিনিটের বেশি খেলাধুলার সময় পায়, তারা অনেক উন্নত আচরণ করে ভবিষ্যতে।
—ঝগড়ার সমাধান, রাগ দমন শেখায়। দুশ্চিন্তামুক্ত থেকে সমাজে বড় হওয়ার পথ দেখায়।
—সরল ভাবনা থেকে জটিল কল্পনাশক্তি বাড়ায়। যেমন: পুতুলকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া (দু-তিন বছর বয়সে)
—চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যাওয়া (তিন-চার বছরে) ইত্যাদি।
—তিন বছর বয়স থেকে সমন্বয়ের খেলাগুলো, যেমন: ব্লক দিয়ে টাওয়ার বানানো বিষয়টি তাকে নিয়মনীতি মেনে সব কাজে অংশগ্রহণে সামর্থ্য এনে দেয়।
—আঁকা-আঁকি, রং করার মতো খেলা শিশুকে সৃজনশীল করে।
—আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন দুই বছরের বেশি বয়সী সব শিশুকে অন্তত দৈনিক এক ঘণ্টা কায়িক শ্রম হয় এমন খেলাধুলা, যেমন: দৌড়াদৌড়ি, কানামাছি, গোল্লাছুট, গাছে ওঠা, বল খেলা ইত্যাদিতে অংশ নিতে পরামর্শ দিচ্ছে। এমন খেলাধুলা ভবিষ্যৎ মুটিয়ে যাওয়া ও হূদেরাগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
জার্নাল পেডিয়াট্রিকস-এর মতে, বিশ্বে ৩০ শতাংশের কম স্কুলগামী শিশু দৈনিক ১৫ মিনিট খেলাধুলার সুযোগ পায়। এক-চতুর্থাংশ শিশু ঘরে টেলিভিশন দেখে সময় কাটায় বা কম্পিউটারে গেম খেলে। সহিংসতার দৃশ্য বা গেম পরবর্তী সময়ে আচরণগত সমস্যা তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বৃদ্ধি ও নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই শিশুকে খেলতে দিন, ওদের খেলতে বারণ করবেন না।  শিশু বিভাগ,

primary-education-development-program.jpg

শিশুদের খেলতে দিন

শিক্ষ্ইা জীবন, জীবনই শিক্ষা। বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার তাই প্রতিটি স্কুলে গ্রন্থাগার হচ্ছে জ্ঞান ভান্ডারের একটি স্থান বা উৎস। প্রতিটি স্কুলে লাইব্রেরী থাকা একান্ত প্রয়োজন। বিভিন্ন গল্পের বই, উপন্যাস, কবিতা, মনীষীদের জীবনি, ম্যাগাজিন, সাহিত্য, ধর্মীয় বই ইত্যাদি স্কুলের গ্রন্থাগারে থাকা আবশ্যক। স্কুলে লাইব্রেরী প্রতিটি শিক্ষার্থীকে জ্ঞান আহরণের জন্য নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। স্কুল লাইব্রেরী থেকে যেভাবে শিক্ষার জ্ঞান আহরণ করা যায়, তেমনি শিক্ষার্থীরাও জ্ঞান আহরণের জন্য স্কুল লাইব্রেরীতে বিশেষ সময়ে যেতে পারে। ড্যাপস্ স্কুলে একটি লাইব্রেরী আছে যেখানে ছোট শিক্ষার্থীরাও এসে বই পড়ে সময় কাটায়। কারণ বই হচ্ছে একমাত্র জ্ঞানের ভান্ডার।

বই পড়ার মাধ্যমে, তারা নিজেদেরকে নতুন জিনিস, নতুন তথ্য, সমস্যার সমাধান করার নতুন উপায় অর্জনের মাধ্যমগুলো খুজে পায়। আমরা নিয়মিতভাবে লাইব্রেরি ব্যবহার করার জন্য আমাদের ছাত্র/ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করি এবং সপ্তাহে অন্তত একবার লাইব্রেরি পরিদর্শন করাই। সন্তানদের পড়াশোনা বাড়ানোর জন্য ঢাকা অ্যাডভেন্টিস্ট প্রি-সেমিনারী  স্কুলের অভিজ্ঞ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন  শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারের যথাযথ ব্যবহার শেখানো হয়, তাদের বই সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার জন্য এবং শান্তভাবে পড়াতে তাদের সহায়তা করার জন্য গ্রন্থাগারে সহায়তা প্রদান করা হয়।

body3_082118090522.jpg
bottom of page